বিজ্ঞাপন
রোববার রাজধানীর শাহবাগে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এই আহ্বান জানানো হয়। গত এক বছরে লেখক, প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের হত্যার পর বিদেশি, হিন্দু পুরোহিত, খ্রিস্টান যাজক, বৌদ্ধ ভিক্ষুও আক্রান্ত হন। সম্প্রতি চট্টগ্রামে একই কায়দায় এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুনের পর হত্যা করা হয় এক পুরোহিত ও এক সেবায়েতকে।
এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে ‘সংখ্যালঘু হত্যাসহ সকল গুপ্তহত্যা রুখে দাঁড়ান’ শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে সংস্কৃতিকর্মীরা। সমাবেশের সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, ঝুনা চৌধুরী, ফকির আলমগীর, জামশেদ আনোয়ার তপন, কামাল পাশা চৌধুরী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ।
রামেন্দু মজুমদার বলেন, “আজ আমরা শাহবাগের যে জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, ঠিক তিন বছর আগে একই জায়গার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল তরুণ সমাজ, মুক্তমনা লেখক ও ব্লগাররা।
“কিন্তু তাদেরকে এর মূল্য দিতে হয়েছে। পরবর্তীতে কয়েকজন মুক্তমনা লেখক-ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে।” সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, “এ গুপ্তহত্যা নয়, দিবালোকে হত্যা করা হচ্ছে সকলের সামনে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে। আর এই হত্যাকাণ্ড চালিয়ে তারা কী বোঝাতে চায়, সেটা জানতে হবে।” নাগরিকদের নিরাপত্তা দাবি জানিয়ে এই নাট্যব্যক্তিত্ব বলেন, “সরকার নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। এসব হত্যার জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই।”
জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে রামেন্দু মজুমদার বলেন, “আমাদের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কাউকে ওরা আঘাত করলে আমি সেটা দেখে ভয় পেয়ে চলে যাব, প্রতিবাদ করব না-সেটা করা যাবে না, আমার ওপর কেউ আক্রমণ করলে তখন এগিয়ে আসার কেউ থাকবে না।”
নাট্যকার মামুনুর রশীদ বলেন, “অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এই হত্যার মাধ্যমে কী বার্তা দেশের বাইরে পৌঁছাচ্ছে? এই বার্তা পৌঁছাচ্ছে যে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র।
“কিন্তু এটা ভুল। এটা যে ভুল, তা প্রমাণ করার জন্য আমাদের জনগণকে যেমন এগিয়ে আসা উচিৎ, তেমনি এগিয়ে আসার উচিৎ সরকারের।”
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, “আজকে এই বাংলাদেশের ধর্মের যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, নির্যাতন করা হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সমা্গ্রিক পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন।
“আজ যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটছে। এর পেছনে দুটি কারণ আছে বলে আমি মনে করি। একটি হল আদর্শিক, আরেকটি হলে ক্ষমতা।
“পশ্চাৎপদ ধ্যান-ধারণার বিশ্বাসী একদল দেশটাকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। অন্যটি হল, কেউ কেউ আজ ক্ষমতার মোহে সরকার দখলের মানসে এই দেশ থেকে সংখ্যালঘুদের বিতাড়িত করতে চায়।”
জামশেদ আনোয়ার তপন বলেন, “সরকারকে বলতে চাই, আপনারা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন, এদের মূল উৎপাটন করুন।”
এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে ‘সংখ্যালঘু হত্যাসহ সকল গুপ্তহত্যা রুখে দাঁড়ান’ শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে সংস্কৃতিকর্মীরা। সমাবেশের সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, ঝুনা চৌধুরী, ফকির আলমগীর, জামশেদ আনোয়ার তপন, কামাল পাশা চৌধুরী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ।
রামেন্দু মজুমদার বলেন, “আজ আমরা শাহবাগের যে জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, ঠিক তিন বছর আগে একই জায়গার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল তরুণ সমাজ, মুক্তমনা লেখক ও ব্লগাররা।
“কিন্তু তাদেরকে এর মূল্য দিতে হয়েছে। পরবর্তীতে কয়েকজন মুক্তমনা লেখক-ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে।” সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, “এ গুপ্তহত্যা নয়, দিবালোকে হত্যা করা হচ্ছে সকলের সামনে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে। আর এই হত্যাকাণ্ড চালিয়ে তারা কী বোঝাতে চায়, সেটা জানতে হবে।” নাগরিকদের নিরাপত্তা দাবি জানিয়ে এই নাট্যব্যক্তিত্ব বলেন, “সরকার নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। এসব হত্যার জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই।”
জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে রামেন্দু মজুমদার বলেন, “আমাদের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কাউকে ওরা আঘাত করলে আমি সেটা দেখে ভয় পেয়ে চলে যাব, প্রতিবাদ করব না-সেটা করা যাবে না, আমার ওপর কেউ আক্রমণ করলে তখন এগিয়ে আসার কেউ থাকবে না।”
নাট্যকার মামুনুর রশীদ বলেন, “অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এই হত্যার মাধ্যমে কী বার্তা দেশের বাইরে পৌঁছাচ্ছে? এই বার্তা পৌঁছাচ্ছে যে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র।
“কিন্তু এটা ভুল। এটা যে ভুল, তা প্রমাণ করার জন্য আমাদের জনগণকে যেমন এগিয়ে আসা উচিৎ, তেমনি এগিয়ে আসার উচিৎ সরকারের।”
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, “আজকে এই বাংলাদেশের ধর্মের যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, নির্যাতন করা হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সমা্গ্রিক পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন।
“আজ যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটছে। এর পেছনে দুটি কারণ আছে বলে আমি মনে করি। একটি হল আদর্শিক, আরেকটি হলে ক্ষমতা।
“পশ্চাৎপদ ধ্যান-ধারণার বিশ্বাসী একদল দেশটাকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। অন্যটি হল, কেউ কেউ আজ ক্ষমতার মোহে সরকার দখলের মানসে এই দেশ থেকে সংখ্যালঘুদের বিতাড়িত করতে চায়।”
জামশেদ আনোয়ার তপন বলেন, “সরকারকে বলতে চাই, আপনারা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন, এদের মূল উৎপাটন করুন।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন