বিজ্ঞাপন
সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে আদালত সরকারকে আইন বা বিধিমালা করতে নির্দেশ দিতে পারে বলে মত দিয়েছেন অ্যামিকাস কিউরি এ এফ হাসান আরিফ। সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের দিক-নির্দেশনা (গাইডলাইন) তৈরি প্রশ্নে রুলের শুনানিতে রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাই কোর্ট বেঞ্চে এ মত তুলে ধরেন জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ আদালতকে বলেন, “সংবিধানের ৯৫ (২) (গ) অনুচ্ছেদ অনুসারে বিচারক নিয়োগের যোগ্যতা আইনের দ্বারা নির্ধারিত হবে। নিয়োগের কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতি, তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়োগ দেবেন। এ বিষয়ে সরকারকে আইন বা বিধি করতে আদালত নির্দেশ দিতে পারে।” বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দিক-নির্দেশনা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ছয় বছর আগের রুলের ওপর হাই কোর্টে এই শুনানি চলছে। এর ধারাবাহিকতায় ২৭ মে অ্যমিকাস কিউরি হিসেবে এ এফ হাসান আরিফ মতামত উপস্থাপন শুরু করেন।
পরবর্তী তারিখে লিখিত মতামত দেওয়ার পাশাপাশি অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করবেন বলে জানান এ এফ হাসান আরিফ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। অন্যদিকে রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজীম। সমরেন্দ্র নাথ পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য অবকাশ শেষে ১৪ জুলাই দিন রেখেছে।
এই মামলায় অ্যামিচি কিউরি হিসেবে রয়েছেন সাতজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তারা হলেন- ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও এ এফ হাসান আরিফ। ব্যারিস্টার আজীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ড. কামাল হোসেন লিখিত মতামত আদালতে দিয়েছেন। বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বাছাইয়ে দিক-নির্দেশনা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী ২০১০ সালের ৩০ মে হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৬ জুন বিচারপতি মো. ইমান আলী (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল দেয়। রুলে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা’ আনতে কেন সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা তৈরি করা হবে না এবং নিয়োগের নির্দেশনা প্রণয়ন করে তা কেন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। আইন সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
একইসঙ্গে নিয়োগের জন্য বিচারক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ইতোপূর্বে কী প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে, তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানাতে আইন সচিবকে বলা হয়। রিট আবেদনকারীর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রুল হওয়ার পর ২০১৪ সালে বিষয়টি বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাই কোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় ওঠে। এ বিষয়ে মতামত দিতে আদালত অ্যামিচি কিউরি হিসেবে সাতজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর নাম ঘোষণা করে। ওই বেঞ্চ পুর্নগঠন হওয়ার পর প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠান বলে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজীম জানান।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ আদালতকে বলেন, “সংবিধানের ৯৫ (২) (গ) অনুচ্ছেদ অনুসারে বিচারক নিয়োগের যোগ্যতা আইনের দ্বারা নির্ধারিত হবে। নিয়োগের কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতি, তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়োগ দেবেন। এ বিষয়ে সরকারকে আইন বা বিধি করতে আদালত নির্দেশ দিতে পারে।” বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দিক-নির্দেশনা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ছয় বছর আগের রুলের ওপর হাই কোর্টে এই শুনানি চলছে। এর ধারাবাহিকতায় ২৭ মে অ্যমিকাস কিউরি হিসেবে এ এফ হাসান আরিফ মতামত উপস্থাপন শুরু করেন।
পরবর্তী তারিখে লিখিত মতামত দেওয়ার পাশাপাশি অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করবেন বলে জানান এ এফ হাসান আরিফ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। অন্যদিকে রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজীম। সমরেন্দ্র নাথ পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য অবকাশ শেষে ১৪ জুলাই দিন রেখেছে।
এই মামলায় অ্যামিচি কিউরি হিসেবে রয়েছেন সাতজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তারা হলেন- ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও এ এফ হাসান আরিফ। ব্যারিস্টার আজীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ড. কামাল হোসেন লিখিত মতামত আদালতে দিয়েছেন। বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বাছাইয়ে দিক-নির্দেশনা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী ২০১০ সালের ৩০ মে হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৬ জুন বিচারপতি মো. ইমান আলী (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল দেয়। রুলে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা’ আনতে কেন সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা তৈরি করা হবে না এবং নিয়োগের নির্দেশনা প্রণয়ন করে তা কেন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। আইন সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
একইসঙ্গে নিয়োগের জন্য বিচারক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ইতোপূর্বে কী প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে, তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানাতে আইন সচিবকে বলা হয়। রিট আবেদনকারীর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রুল হওয়ার পর ২০১৪ সালে বিষয়টি বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাই কোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় ওঠে। এ বিষয়ে মতামত দিতে আদালত অ্যামিচি কিউরি হিসেবে সাতজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর নাম ঘোষণা করে। ওই বেঞ্চ পুর্নগঠন হওয়ার পর প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠান বলে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজীম জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন