বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বস সম্প্রতি বিশ্বের ১০টি শীর্ষ ধনী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছেন। মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে তৈরি এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। আর সবার শেষে রয়েছে নেদারল্যান্ড।জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বস সম্প্রতি বিশ্বের ১০টি শীর্ষ ধনী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছেন। মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে তৈরি এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। আর সবার শেষে রয়েছে নেদারল্যান্ড।জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বস সম্প্রতি বিশ্বের ১০টি শীর্ষ ধনী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছেন। মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে তৈরি এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। আর সবার শেষে রয়েছে নেদারল্যান্ড।
১. কাতার: জনসংখ্যা ২০ লক্ষের সামান্য বেশি। এই দেশটিই বর্তমানে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ধনী। কাতারের মাথাপিছু আয় প্রায় ৭২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। মধ্যপ্রাচ্যের উপদ্বীপ কাতারের অর্থনীতি জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির রপ্তানি থেকে আয়ের ৮৫ শতাংশই আসে পেট্রোলিয়াম রপ্তানি করে।
২. লুক্সেমবার্গ: ইউরোপের সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর অন্যতম লুক্সেমবার্গকে বলা হয় ‘tax heaven’ বা ‘করের স্বর্গ’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ধনকুবের ব্যবসায়ীরা নিজ দেশের উচ্চ কর হার এড়াতে তাই বসবাসের জন্য বেছে নেন লুক্সেমবার্গকে। দেশটির বর্তমান মাথাপিছু আয় প্রায় ৬৭ লাখ টাকা।
৩. সিঙ্গাপুর: ৬৩টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা মাত্র ৫৫ লাখ আর মাথাপিছু আয় ৪৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে সিঙ্গাপুর। তেমন কোন প্রাকৃতিক সম্পদ না থাকলেও ব্যবসা-বাণিজ্য করেই বর্তমানে এই অবস্থানে এসেছে দেশটি।
৪. নরওয়ে: মাত্র ৫০ লাখ জনসংখ্যার নরওয়ের আয়ের অন্যতম উৎস প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিশাল তেল ভাণ্ডার। বিশ্বব্যাপী টেলিযোগাযোগ ব্যবসাতেও নরওয়ে বেশ সফল। বিপুল প্রাচুর্যের পাশাপাশি বসবাসের জন্য সারা বিশ্বে সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে পরিচিত নরওয়ে। দেশটির মাথাপিছু আয় ৪২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
৫. ব্রুনেই: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম ধনী দেশ ব্রুনেইয়ের মাথাপিছু বার্ষিক আয় প্রায় ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস দেশটির আয়ের প্রধান উৎস। দেশটির জিডিপির ৯০ শতাংশের জোগান দেয় পেট্রোলিয়াম রপ্তানি করে। পাঁচ লাখের কম জনসংখ্যার দেশটি বিশ্বে সবচেয়ে কম জনবহুল দেশগুলোর একটি।
৬. সংযুক্ত আরব আমিরাত: সাতটি স্বাধীন প্রদেশের সমন্বয়ে গঠিত বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির বার্ষিক মাথাপিছু আয় প্রায় ৩৯ লাখ টাকা। প্রাকৃতিক গ্যাস, জ্বালানি তেল ও খেজুরের মতো প্রচলিত পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণেও ভালো অবস্থানে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
৭. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক নানা কারণে অর্থনীতি এখন কিছুটা বিপর্যস্ত হলে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির আয়ের সিংহভাগ আসে উচ্চ প্রযুক্তি, অস্ত্র রপ্তানি থেকে। দেশটির মাথাপিছু আয় ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
৮. হংকং: এশিয়াসহ সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের কাছেই পছন্দের দেশ হংকং। এশিয়ার অন্যতম ব্যয়বহুল দেশ হংকংয়ের মাথাপিছু আয় ৩৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা।
৯. সুইজারল্যান্ড: ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশ সুইজারল্যান্ডের আয়ের উৎস বৈচিত্র্যপূর্ণ। দেশটির বর্তমান মাথাপিছু আয় প্রায় ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। কৃষি, পর্যটন, ব্যাংকিং, ঘড়ি, চকলেট—আয়ের উৎসের অভাব নেই সুইজারল্যান্ডের। সারা বিশ্বের ধনীদের টাকা জমানোর জন্য সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত দেশ হলো সুইজারল্যান্ড।
১০. নেদারল্যান্ড: প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ এই দেশটি প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করে তার আয়ের সিংহভাগ উপার্জন করে। নেদারল্যান্ডের মাথাপিছু আয় প্রায় ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন